দখিনের খবর ডেস্ক ॥ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাঙালির সকল বিজয়ের প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুপরিকল্পিতভাবে ভাষার লড়াই থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে স্বাধীনতার আন্দোলন ও সংগ্রামে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। এভাবেই তিনি গণতান্ত্রিক উপায়ে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলী রোডের নিজ বাসভবন থেকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘ভাষা থেকে স্বাধীকার’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফের সভাপতিত্বে সেমিনারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “বাংলা ভাষার বয়স হাজার বছরের ঊর্ধ্বে হলেও বাংলা ভাষাভাষীদের জাতীয়তাবোধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বে আসীন হয়ে বঙ্গবন্ধুই ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। দেশের সর্বত্র বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় বাংলাদেশের মানুষদের উদ্ধুদ্ধ ও সুসংগঠিত করেছিলেন। সেমিনারে শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকে এবং কারাগার থেকে মুক্তির পরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার মধ্য দিয়ে বাঙালিদের ক্রমান্বয়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এগিয়ে নিয়ে যান। ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের বিজয়, ৬২’র শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা দাবী উত্থাপন, ৬৮’র আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গোটা বাঙালি জাতিকে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তোলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁরই নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দেশকে স্বাধীন করে। তাই বাঙালির সকল অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আর বিজয়ে তিনিই প্রাণপুরষ।
Leave a Reply